Posts

সুবহানাল্লাহ’র তাৎপর্য ও ফজিলত

Image
সুবহানাল্লাহ অর্থাৎ আল্লাহ তাআলা পুতঃপবিত্র। যা কুরআনের আয়াত দ্বারা সাব্যস্ত। সুরা বাক্বারা ৩২ নং আয়াতে আল্লাহর উদ্দেশ্যে ফেরেশতাদের বক্তব্যে তা উঠে এসেছে। সুবহানাল্লাহ’র তাৎপর্য ও ফজিলত এখানে তুলে ধরা হলো-তাৎপর্যক. হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, ‌এ বাক্যটির অর্থ হলো- আল্লাহ পবিত্র অর্থাৎ আল্লাহ তাআলা যাবতীয় মন্দ ও  সকল প্রকার দোষ-ত্রুটি থেকে সম্পূর্ণ পবিত্র।খ. একবার হজরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু হজরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুর নিকট প্রশ্ন করেছিলেন, আমরা ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’র অর্থ জানি। কিন্তু সুবহানাল্লাহ’র তাৎপর্য কি? তখন হজরত আলী  রাদিয়াল্লাহু আনহু জবাব দিয়েছিলেন, ‘আল্লাহ তাআলা এ বাক্যটি নিজের জন্য পছন্দ করেছেন। তিনি এ বাক্য দ্বারা সন্তুষ্ট হন। এ বাক্যটির জিকির আল্লাহ তাআলার  মহান দরবারে অত্যন্ত পছন্দনীয়।গ. হজরত মাইমুন ইবনে মেহরান রহমাতুল্লাহি আলাইহি সুবহানাল্লাহর প্রসঙ্গে বলেছেন, এতে আল্লাহ তাআলার তাযিম রয়েছে এবং তাঁর পবিত্রতার বর্ণনা রয়েছে।ফজিলতহজরত সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমরা রাসুল সাল্লাল্লাহু  আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট  ছিলাম। তিনি ব

সুরা ইখলাসের ফজিলত ও বরকত

Image
  সুরা ইখলাসের ফজিলত ও বরকত সুরা ইখলাস কোরআন মাজিদের ১১২তম সুরা। সুরাটি সুরা নাসের পরে হিজরতের আগে মক্কার প্রথম যুুগে অবতীর্ণ হয়। এই সুরার আয়াত সংখ্যা ৪, রুকু সংখ্যা ১। ইখলাস অর্থ গভীর অনুরক্তি, একনিষ্ঠতা, নিরেট বিশ্বাস, খাঁটি আনুগত্য, ভক্তিপূর্ণ উপাসনা। তাওহিদ বা এক আল্লাহর ওপর খাঁটি ও নিরেট বিশ্বাসী হওয়াকে ইখলাস বলা হয়। এ সুরার মর্মার্থের ভিত্তিতে নামকরণ করা হয়েছে সুরা ইখলাস। যে ব্যক্তি এ সুরাটি পাঠ করবে ও এর মর্মার্থের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করবে, সে নিশ্চিত শিরক থেকে মুক্তি লাভ করে নিরেট তাওহিদবাদী হয়ে যাবে এবং আল্লাহর মুখলিস বান্দায় পরিণত হবে। এ সুরার বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, আল্লাহ তাআলা নিজের পরিচয় তাঁর হাবিবকে দিতে বলে বন্ধু  পরিচয়  র পরিচয় বন্ধু দেওয়ার মাধ্যমে বন্ধুর শ্রেষ্ঠত্বও প্রমাণিত হয়েছে। এ সুরার শানে নুজুল প্রসঙ্গে হজরত আনাস (রা.) বর্ণনা করেন, খাইবারের কয়েকজন ইহুদি একদা মহানবী (সা.)-এর দরবারে এসে বলে, হে আবুল কাসেম! আল্লাহ তাআলা ফেরেশতাদের নূর থেকে, আদমকে মাটি থেকে এবং পৃথিবীকে পানির ফেনা থেকে সৃষ্টি করেছেন। এখন আপনার রব সম্পর্কে আমাদের জানান, তিনি কোন বস্তুর থেকে সৃষ্ট?

আয়াতুল কুরসির ফজিলত

Image
  আয়াতুল কুরসির পড়ার ফজিলত  আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত নবি (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর ‘আয়াতুল কুরসি’ পাঠ করবে, সে ব্যক্তির জন্য তার মৃত্যু ছাড়া আর অন্য কিছু জান্নাত প্রবেশের পথে বাধা হবে না। (নাসাঈ কুবরা ৯৯২৮)। উবাই ইবনু কা’ব (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, হে আবুল মুনযির! তোমার কাছে আল্লাহর কিতাবের কোন আয়াতটি সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ? আমি বললাম, আল্লাহ ও তার রাসূলই অধিক জ্ঞাত। তিনি আবার বলেন, হে আবুল মুনযির! তোমার কাছে আল্লাহর কিতাবের কোন আয়াতটি সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ? আমি বললাম, ‘আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল ক্বাইয়্যুম’ (আয়াতুল কুরসি)। তখন তিনি আমার বুকে (হালকা) আঘাত করে বলেন, হে আবুল মুনযির! তোমার জ্ঞান আনন্দদায়ক হোক। (সুনানে আবু দাউদ-১৪৬০)। আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, প্রতিটি বস্তুরই চূড়া আছে। কুরআনের উঁচু চূড়া হলো সূরা আল-বাকারা। এতে এমন একটি আয়াত আছে যা কুরআনের আয়াতগুলোর প্রধান। তা হলো আয়াতুল কুরসি। (জামে আত-তিরমিজি-২৮৭৮)। Advertisement আবু লায়লা (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি নবি (সা.)-এর নিকট বস

২০২৩ ঈদুল আযহা কত তারিখেঃ

এখন পর্যন্ত, আশা করা হচ্ছে যে পরের বছর ঈদ-উল-আযহা উদযাপনের তারিখটি বুধবার, 28 জুন 2023 এ পড়বে। তারিখটি  1444 সালের জুল হিজ্জার চাঁদ দেখার উপর নির্ভর  করে পরিবর্তিত হতে পারে। ঈদুল আজহা ২০২৩ কত তারিখে

প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর সংক্ষিপ্ত জীবনী

  যে ফুল ফুটিল মক্কায়, সুবাসিত করিল সারা জাহান। আল্লাহর হাবিব তিনি মুহাম্মাদ (সাঃ)। জন্ম ও শৈশবঃ হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বর্তমান সৌদি আরবে অবস্থিত মক্কা নগরীর কুরাইশ গোত্রের বনি হাশিম বংশে জন্মগ্রহণ করেন। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ৫৭০ খৃীস্টাব্দে ১২ই রবিউল আউয়াল সোমবার জন্মগ্রহণ করেন। তার মায়ের নাম আমিনা এবং পিতার নাম আব্দুল্লাহ। জন্ম নেয়ার পরেই আমেনা দাদা আব্দুল মুত্তালিবকে খবর পাঠান । আব্দুল মুত্তালিব খুশিতে তখনি শিশু মুহাম্মদ (সাঃ) কে কোলে নিয়ে তার নাম রাখেন মুহাম্মদ । দুগ্ধ পান কালঃ সর্ব প্রথম তাঁকে তাঁর মাতা হযরত আমেনা দুগ্ধ পান করান। অতঃপর আবু লাহাবের বাঁদী ‘সুওয়াইবা’ তাকে দুগ্ধ পান করায়। অতঃপর ধাত্রীর সন্ধান করতে থাকেন। ‘হাওয়াযিন’ গোত্রের বানী সা’দ এর মহিলা হালীমা ছা’দিয়া এই বিরল সৌভাগ্যের অধিকারী হন। দুধপানকালে হালীমা নবী করীম (সাঃ) এর অলৈাকিক ও বরকতময় অনেক র্দশ্য প্রত্যক্ষ করে । বিবি হালিমার বর্ননা সূত্রে ইতিহাসবিদ ইবনু ইসহাক্ব বলেন যে, বিবি হালীমাহ এবং তার স্বামী তার দুগ্ধপোষ্য শিশু সন্তান সহ বনু সা’দ গোত্রের এক দল মহিলার সঙ্গে অর্থের বিনিময় দুধমান করাবে

মহানবীর ১০ হাদিস

* একটি যুগ আসবে যখন মানুষ উপার্জন করতে একথা চিন্তা করবে না যে,আমি হালাল পন্থায় উপার্জন করছি,নাকি হারাম পন্থায়! [সহিহ বুখারী,হাদিস নং ১৯৪১] * যে ব্যক্তি পছন্দ করে যে, সে দোযখ থেকে নিস্তার লাভ করে জান্নাত প্রবেশ করবে সে ব্যক্তির জন্য উচিত, যেন তার মৃত্যু তার কাছে সেই সময় আসে, যে সময় সে আল্লাহতে ও পরকালে ঈমান রাখে। আর লোকেদের সাথে সেইরূপ ব্যবহার করে যেরূপ ব্যবহার সে নিজের জন্য পছন্দ করে। (মুসলিম ৪৮৮২) * যখন তুমি নামাজ পড়তে দাঁড়াবে, তখন মনে করবে, তোমার সামনে মহান আল্লাহতায়ালা, পেছনে আজরাইল, ডানে জান্নাত, বামে জাহান্নাম, নিচে পুলসিরাত। * সব কাজই নিয়তের উপর নির্ভর করে, আর প্রত্যেক ব্যক্তি যা নিয়ত করে সে তাই পায়। (সহিহ বূখারীঃ০১-মুসলিমঃ১৯০৭) * বান্দা যখন সিজদায় থাকে তখন সে তার রবের সবচাইতে নিকটবর্তী হয়। * যে ব্যক্তি আমাদের এ দ্বীনে (ইসলামে) নতুন কিছু উদ্ভাবন করবে যা এতে নেই,তা প্রত্যাখ্যাত। বুখারী ও মুসলিম * মীজানের পাল্লায় সচ্চরিত্রের চেয়ে অধিক ভারী আর কিছুই নেই। [সুনানে আবু দাউদ-৪৭৯৯] * যখন গরমের প্রচন্ডতা কঠোর আকৃতি ধারন করে,তখন ঠান্ডা করে যোহরের নামায আদায় কর। কেননা জাহান্নামের অত্যা